তুমি কীভাবে আল্লাহর গুণে গুণান্বিত হতে পার?

তুমি কীভাবে আল্লাহর গুণে গুণান্বিত হতে পার?

আল্লাহর রঙে রঙিন হওয়ার মাস রমজান। তোমরা আল্লাহর রঙে রঙিন হও! আল্লাহর রং অপেক্ষা চমৎকার আর কোনো রং হতে পারে? (সূরা বাকারা-১৩৮)। নবীজী (সা.) বলেছেন : তোমরা আল্লাহর গুণে গুণান্বিত হও। সিয়াম ও কিয়ামের মাসের প্রথম দশকের পাঁচ দিন পেরিয়ে আমরা আজ ষষ্ঠ দিবসে পড়েছি। আজ রহমতের ৬ষ্ঠ দিন। হে আল্লাহর রংপিয়াসী বান্দা! নিজেকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন আপনি কতটা আল্লাহর রং ধারণ করতে পেরেছেন! কতটা অর্জন করতে পেরেছেন আল্লাহর গুণ? আল্লাহর রং বা গুণ কী? আল্লাহর রং বা গুণ হলো আল্লাহতায়ালার ৯৯টি গুণবাচক নাম। এ প্রসঙ্গে হাদিস শরিফে এসেছে আল্লাহর রসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহতায়ালার নিরানব্বইটি নাম রয়েছে, যারা এগুলো আত্মস্থ করবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুসলিম ও তিরমিজি)। মহান আল্লাহর পবিত্র গুণবাচক নামগুলো আত্মস্থ করার বা ধারণ করার অর্থ হলো সেগুলোর ভাব ও গুণ অর্জন করা এবং সেসব গুণাবলি ও বৈশিষ্ট্য নিজের কাজে-কর্মে, আচরণে প্রকাশ করা, তথা নিজেকে সেসব গুণের আধার বা অধিকারী হিসেবে গড়ে তোলা।

Answer 2

হাদিস শরিফে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেনঃ
“তোমরা আল্লাহর গুণে গুণান্বিত হও।”

আল্লাহর রং বা গুণ হল আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক ৯৯ টি নাম। আল্লাহর নামাবলী আত্মস্থ করার বা ধারণ করার অর্থ হল সেগুলোর ভাব ও গুণ অর্জন করা এবং সেসব গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য কাজকর্মে, আচরণে প্রকাশ করা তথা নিজেকে সেসব গুণের অধিকারী হিসেবে গড়ে তোলা। যেমনঃ

আল্লাহ হলে আল-গফ্‌ফার মানে মার্জনাকারী। আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল। আমাদের নবীজিও (সা.) ক্ষমরা মহৎ উদাহরণ ছিলেন। তাই আমারাও চেষ্টা করবো মানুষদের ক্ষমা করতে।

আল্লাহ হলেন আল-মুই’জ্ব অর্থাৎ সম্মানপ্রদানকারী। আমরাও চাইলে মানুষদের সম্মান করতে পারি। বড়দের সালাম আর ছোটদের স্নেহ করতে পারি।