তােমার এলাকার সমষ্টিগত সম্পদের একটি তালিকা তৈরি কর। তালিকার যে কোনাে একটি সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নে তুমি কী ধরনের ভূমিকা পালন করতে পার তা বর্ণনা কর।

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ তােমার এলাকার সমষ্টিগত সম্পদের একটি তালিকা তৈরি কর। তালিকার যে কোনো একটি সম্পদ সংরক্ষণ ও টেশসই উন্নয়নে তুমি কী ধরনের ভূমিকা পালন করতে পার তা বর্ণনা কর।

সমষ্টি গত সম্পদের তালিকা: আমাদের এলকায় সমষ্টিগত যে সম্পদগুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে রাস্তাঘাট, হাসপাতাল, সেতু, বিদ্যালয়, রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন যানবাহন ও বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান, অফিস ভবন, ভূমি ও ভুমির উপরিস্থিত এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ (নদী নালা, মৎস সম্পদ ইত্যাদি) এগুলোর সবই সমষ্টিগত সম্পদের অন্তর্ভূক্ত। রাষ্ট্র এবং জনগণ সম্মিলিতভাবে এসব সম্পদের অধিকার। জনগণ এগুলো ব্যবহার করে ও ভোগ করে।

সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নে করণীয়: উপরোক্ত সমষ্টিগত সম্পদের তালিকা থেকে যদি আমাকে যে কোন একটি সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নের কথা বলা হয় তবে আমি হাসপাতালকে বেছে নিব।

হাসপাতাল সংরক্ষণ ও এর টেকসই উন্নয়নে আমি যে ধরনের ভূমিকা রাখতে পারি তা নিম্নরূপ:–

জাতীয় সম্পদ সংরক্ষনের জন্য রাষ্ট্রীয় যেসব ব্যবস্থা আছে সেগুলো যাতে কোনভাবে ব্যাহত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা। হাসপাতাল ও এর বিভিন্ন সম্পদ সংরক্ষনের জন্য দায়িত্বরত রক্ষী থাকেন। কোন সময় সেগুলো অরিক্ষিত দেখলে সাথে সাথে কর্তৃপক্ষকে জানাবো।

হাসপাতালের উন্নয়ন ও বৃদ্ধিসাধনে সচেষ্ট থাকবো।

হাসপাতালের অপব্যবহার বা কোন জিনিসের অপচয় দেখতে কর্তৃপক্ষকে জানাবো। পানি, বিদ্যুৎ ইত্যাদির যথাযথ ব্যবহার সম্পর্কে সবাইকে সচেষ্ট করবো।

সম্পদ সংক্ষনের জন্য নিজ নিজ কর্তব্য বিষয়ে প্রতিটি নাগরিক সচেতন ও সচেষ্ট থাকলে জাতীয় সম্পদ সংরক্ষণ ও এগুলোর অপচয় রোধ করা কঠিন নয়। নাগরিকের সচেতনার জন্য গণমাধ্যনে প্রচারের ব্যবস্থা করব। এলাকায় অসাধু অনেক লোক আছে যারা সমষ্টিগত এসব সম্পদের দ্বারা তাদের স্বার্থ সিদ্ধি হাসিল করতে চায়।

তেমনি ঐসকল অসাধু লোকের পাশাপাশি কিছু সচেতন মানুষও আছে আমাদের এলাকায়। যারা দেশ ও দশের কথা ভাবে এবং দেশের সার্বিক মঙ্গলে তারা কাজ করে। তাদের সমন্বয়ে আমরা বিভিন্ন দল গঠণ করে এই হাসপাতালে সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নে আমরা বিভিন্ন কাজ করতে পারি।

বর্তমানে সামাজিক যোগযোগের বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে যার দ্বারা আমরা একে অপরকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করতে পারি, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সেবা ও গঠনমূলক কাজ করতে পারি। উন্নয়ন ও পারি এবং সর্বসাধারনের মধ্যে গণসচেতনার তৈরি করতে পারি। মাঝে মাঝে এসকল কাজের জন্য ও কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে তরুন সমাজকে নানন ভাবে পুরস্কিত করতে পারি। যাতে তরুণ সমাজ এ ধরনের কাজ এগিয়ে আসে এবং এ ধরনের কাজ করতে উদ্ধুদ্ধ হয়।