উদ্ভিদের বর্ধনশীল অংশে ভাজক টিস্যু যেমনঃ কান্ড, মূলের অগ্রভাগ, ভ্রুণমুকুল, বর্ধনশীল পাতা, মুকুল ইত্যাদিতে মাইটোসিস কোষ বিভাজন ঘটে। এ প্রক্রিয়ায় মাতৃকোষের নিউক্লিয়াসটি একবার বিভাজিত হয়ে সমআকৃতির, সমগুণ সম্পন্ন ও সমসংখ্যক ক্রোমোজোম বিশিষ্ট দুটি অপত্য কোষ সৃষ্টি করে। এ ধরনের বিভাজনে প্রতিটি ক্রোমোজোম লম্বালম্বিভাবে দুইভাগে বিভক্ত হয়। ফলে সৃষ্ট নতুন কোষ দুটিতে ক্রোমোজোম সংখ্যা মাতৃ কোষের ক্রোমোজোম সংখ্যার সমান থাকে। এভাবে কোষ বিভাজনের দীর্ঘস্থায়ী ধাপ প্রোফেজ উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
গ) উদ্দীপকে উল্লিখিত বিভাজন প্রক্রিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী ধাপটি উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিচে উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে মাইটোসিসের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করা হলো :
১. মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে জীবের দৈহিক বৃদ্ধি ঘটে।
২. এই বিভাজনের মাধ্যমে বহুকোষী জীবের দেহে সৃষ্ট ক্ষতস্থান পূরণ করে।
৩. এই পদ্ধতিতে এককোষী সুকেন্দ্রিক জীবের বংশবৃদ্ধি তথা সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটে।
৪. অপত্য ক্রোমোজোম রক্ষা ও জিনের বৈশিষ্ট্য মাতৃকোষের অনুরূপ হওয়ায় প্রজাতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখে।
৫. মাইটোসিস বিভাজনের ফলে জীবজগতের গুণগত বৈশিষ্ট্যের সহনশীলতা বজায় থাকে।
৬. এই বিভাজনের মাধ্যমে বহুকোষী জীবের জননাঙ্গ সৃষ্টি হয়।
৭. জীবজগতের স্বাভাবিক আকার, আকৃতি ও আয়তন বজায় রাখতে মাইটোসিস প্রয়োজন। সুতরাং আলোচনা শেষে বলতে পারি, জীব ও জীবজগতে মাইটোসিসের গুরুত্ব অপরিসীম।
আরও দেখুনঃ
মায়ের উত্তরে বলা বিশেষ প্রক্রিয়াটির গুরুত্ব উদ্ভিদের জীবনে কত খানি-তা বিশ্লেষণ কর।